খেলার খবর।
অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যর্থতার পেছনে কি? নানা কথা এখন বলা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের সাথে তার সতীর্থদের বিভেদের কথা। আছে দলে ভাঙ্গনের গল্প। আরো বলা হচ্ছে দলের সাথে খেলোয়াড়দের পরিবার পরিজনের উপস্থিতি অ্যাশেজ ভরাডুবির কারণ। অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা খুব ক্ষেপেছেন এইসব কথায়। জবাবও এসেছে তাদের কাছ থেকে।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অবসরের ঘোষণা দেয়া অধিনায়ক ক্লার্ক। তিনি বলেছেন, “দলে কোনো বিভেদ নেই। অন্য যে কোনো অস্ট্রেলিয়া দলের মতোই বর্তমান এই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধনটা খুব দৃঢ়।” এরপর আসে স্ত্রী বান্ধবী সন্তানদের প্রসঙ্গ। ক্লার্ক বলেছেন, “স্ত্রী আর বান্ধবীদের জন্য আমাদের খেলায় মনযোগ ক্ষুন্ন হয়েছে কি না? এটাও বাজে কথা। একেবারে জঞ্জাল।” বরং ক্যারিয়ারে সাফল্যের পেছনে স্ত্রীর অবদানকে তুলে ধরেছেন ক্লার্ক। বলেছেন স্ত্রী ও পরিবারের সাহায্য ছাড়া তিনি খেলোয়াড় হিসেবে এখনকার অর্ধেকটাও হতে পারতেন না। দলের অন্যরাও একই কথা বলবেন বলে নিশ্চিত ক্লার্ক।
পরিবারকে দোষ দেয়ায় ক্ষেপেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
ডেইলি টেলিগ্রাফে কলামিস্ট রেবেকা উইলসনের লেখা পড়ে ক্রুদ্ধ হয়েছেন মিচেল জনসন। হারের পেছনে খেলোয়াড়দের পরিবারের উপস্থিতিকে দোষারোপ করেছেন তিনি। পেসার জনসন বলেছেন, পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার বিষয় দেখার দায়িত্ব কেউ রেবেকাকে দেয়নি। খুবই অসম্মানজনক লেখা লিখেছেন এই লেখিকা।
ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহ অধিনায়ক ইয়ান হিলি পরিবারের বিষয়টি টেনে আনেন। অ্যাশেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার সিরিজের ফল নির্ধারণের আগে খেলোয়াড়দের সাথে পরিবার পরিজনের উপস্থিতি বিস্মিত করে তাকে। হিলির সাথে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই ওপেনার বলেছেন, “সফরে পরিবারকে সাথে রাখতে ভালোবাসি। একথা সবাই মানবে যখন দিনের পর দিন কাজে যাবেন আর ফিরবেন পরিবারের কাছে তখন হাসিটা থাকবে। বাজে দিনে চেঞ্জ রুমে এ নিয়ে কথা হয়। এটা কাটিয়ে উঠি আমরা। এরপর পরিবারের কাছে ফিরে সন্তানের সাথে খেলার সুযোগ মেলে। তাদের কাছে পাওয়া দারুণ ব্যাপার।”
পাঠকের মতামত